হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাবিবুল্লাহ ফারহজাদ বলেন, ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, মুনাফিকরা বারবার ইসলামকে আঘাত করেছে। ইসলামি বিপ্লবের পরও তারা বিপ্লব ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় থেকেছে এবং আজও তাদের সেই অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
কারা সত্যিকারের ঈমানদার?
তিনি বলেন, যাদের অন্তরের অবস্থা তাদের বাহ্যিক রূপের চেয়ে উত্তম—তাদের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত ঈমান। বাহ্যিক আচরণ যতই ধার্মিক হোক না কেন, যদি অন্তরে হিংসা, রিয়া, প্রতারণা ও কপটতা থাকে, তবে সেই ব্যক্তি মুনাফিক বলে গণ্য হবে।
আখিরাতের পুঁজি কীভাবে বাড়ানো যায়?
হুজ্জাতুল ইসলাম ফারহজাদ বলেন, আখিরাতের সঞ্চয় বাড়ানোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় হলো—আহলুল বাইতের (আ.) প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও তাদের নেতৃত্ব মেনে চলা। তিনি আরও বলেন, আহলুল বাইতের ভালোবাসা ও আনুগত্যে বিনিয়োগ করা এমন এক আধ্যাত্মিক ধন, যা মানুষকে আত্মিক উন্নতির উচ্চতায় পৌঁছে দেয়, জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করে এবং জান্নাতে আহলুল বায়তের সঙ্গী করে তোলে।
যারা কেবল দুনিয়াকেই গুরুত্ব দেয়...
তিনি বলেন, অনেকেই আখিরাত ভুলে গিয়ে শুধু দুনিয়াবি লালসা ও অর্জনের পেছনে ছোটে। অথচ, একজন মানুষের প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার অভিপ্রায় ও লক্ষ্যের উচ্চতা অনুযায়ী। যদি কেউ শুধুই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকেই বড় কিছু মনে করে, তবে তার আত্মিক মূল্যও ততটাই তুচ্ছ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যদি এমন কিছু করা হয় যাতে আহলুল বাইত (আ.) অসন্তুষ্ট হন, তবে সেই ব্যক্তির মুক্তির কোনো পথ থাকবে না। কারণ, আহলুল বায়তের সন্তুষ্টি মানেই আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর তাদের অসন্তুষ্টি মানেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও গজব।
আখিরাতের শ্রেষ্ঠ পুঁজি
হুজ্জাতুল ইসলাম ফারহজাদ তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেন, আখিরাতের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী ও মূল্যবান আমল হলো—আহলুল বাইতের (আ.) প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্য। এটিই মানুষের পরিত্রাণ ও মুক্তির প্রকৃত সোপান।
আপনার কমেন্ট